English Grammar | English Language: স্বাক্ষরতা নয় : শিক্ষা

Welcome to my blog!

Meet the Author

Ut eleifend tortor aliquet, fringilla nunc non, consectetur magna. Suspendisse potenti.

Looking for something?

Subscribe to this blog!

Receive the latest posts by email. Just enter your email below if you want to subscribe!

Tuesday, May 17, 2016

স্বাক্ষরতা নয় : শিক্ষা

স্বাক্ষরতা নয় : শিক্ষা

"Out of ignorance all that evil comes."
                                                ----- Socrates.

আড়াই হাজারেরও বেশি বছর আগে যে অমোঘ উক্তিটি করা হয়েছিল, আড়াই হাজার বছর পরেও অজ্ঞ ও নির্বোধেরা উক্তিটিকে অনুধাবন করতে পারেনি।

"শিক্ষার আলো জ্বাল।"
"শিক্ষার মশাল জ্বাল।"
"শিক্ষার আলো অন্ধকার দূর করে।"
"শিক্ষার জন্য দরকার হলে সুদুর চীনে যাও।"
"আমাকে একটি শিক্ষিত মা দাও, আমি একটি শিক্ষিত জাতি দিব।"

কত রকমের গাল-ভরা কথা আর শ্লোগান !
এর থেকেই শিক্ষার প্রয়োজনীয়তা অনুধাবন যায়।
তবে এ কথাগুলো মুখস্ত করে গলা ফাঁটানোর আগে ‘শিক্ষা কি’ ভালভাবে বোঝা দরকার।

‘শিক্ষার আলো অজ্ঞতার অন্ধকার দূর করে।'
‘শিক্ষা জীবনকে আলোকিত করে।' ইত্যাদি।
কিন্তু শিক্ষার মূল কাজ, শিক্ষা মানুষকে ভাবায়। যে শিক্ষা মানুষকে না ভাবায় বা ভাবতে উদ্বুদ্ধ করে না, সে শিক্ষাকে প্রকৃত শিক্ষা বলা যায় না।
শিক্ষা এমন কোন surf-excel বা detergent নয় যে, ভিতরের ময়লা ধূয়ে জীবনকে আলোকিত করবে।
শিক্ষা মানুষকে ভাবায়, মানুষকে যুক্তিবাদী করে, মানুষকে সবকিছু যৌক্তিকভাবে ভাবতে শেখায়। সে কারনেই শিক্ষিত মানুষেরা সহনশীল এবং আলোকিত হয়।

সুতরাং ‘শিক্ষা যে জাতি গঠনের মূল ভিত্তি’ সে কথা বলাই বাহুল্য।
তাই একটা দেশের শিক্ষা-ব্যবস্থার ওপরই নির্ভর করে ঐ দেশ ও জাতির ভবিষ্যৎ। মনে রাখতে হবে ‘স্বাক্ষরতা’ আর ‘শিক্ষা’ এক নয়।
আমাদের শিক্ষা-ব্যবস্থা স্বাক্ষরতার হার বাড়িয়েছে।

শিক্ষার হার বাড়লে মানুষ শিক্ষিত হত, জ্ঞানী হত, যৌক্তিক হত, সহনশীল হত।
শিক্ষাই মানুষের চরিত্র, বিবেক এবং ব্যক্তিত্ব গঠনে প্রধান সহায়ক।

দেশের জনগণ, হত্যাকান্ড, সর্বক্ষেত্রে corruption, ইত্যাদি পর্যবেক্ষন করলেই শিক্ষা-ব্যবস্থার output সহজেই অনুমেয়।
আমাদের বর্তমান শিক্ষামন্ত্রী দায়িত্ব নেয়ার পর পরই বিভিন্ন জেলা tour করে মতবিনিময় সভা করেছিলেন বিভিন্ন শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে গিয়ে। বিষয়টি তখন অনেকেই positively accept করেছিলেন।
কিন্তু, দেশের কোন এক বিখ্যাত কলেজে মতবিনিময় সভায় একজন সুযোগ্য শিক্ষক তার ক্ষোভানলে পড়েন। ঐ শিক্ষক শুধু বলতে চেয়েছিলেন, জীববিজ্ঞানের পাঠ্যসূচীতে ‘ডারুইনের বিবর্তনবাদ’ অন্তর্ভুক্ত থাকা উচিৎ।

ধর্মভিত্তিক রাষ্ট্র পাকিস্তানেও জীববিজ্ঞানের ছাত্রের কাছে ‘ডারুইনের বিবর্তনবাদ’ বিশেষভাবে উল্লেখযোগ্য একটি অধ্যায় ছিল।
ধর্মনিরপেক্ষ বাংলাদেশে কিভাবে পাঠ্যসূচী থেকে এর রহস্যজনক বিলুপ্তি ঘটল, ভাবনার ব্যপার।
এর পেছনেও কি রাজনীতির প্রভাব?

আর এটা উল্লেখ করার প্রয়োজন নেই যে, আমাদের রাজনীতি মানেইতো ভোটের রাজনীতি।
ভোটের জন্য আমরা শুধু শিক্ষা-ব্যবস্থা কেন, যে-কোন ব্যবস্থারই ব্যবচ্ছেদ করতে পারি।
বিএনপি-জামাত আন্দোলনের নামে গাড়ি পুড়িয়েছে, মানুষ পুড়িয়েছে, গাছ কেটেছে – সবই অমানবিক এবং মর্মান্তিক। তার চেয়েও কুৎসিত হচ্ছে শিক্ষাকে খুন করা।

আমার শিক্ষার অভাব, আমি অসহনশীল।
আমি অসহনশীল, মানে আমি উগ্র।
আমি উগ্র, মানে আমি বিধ্বংসী --- আমি জংগী।

ভোটের রাজনীতি দরকার ক্ষমতায় থাকার জন্য।
আর ক্ষমতায় থাকতে হয় জাতি গঠনের জন্য।
দেশের মানুষকে অজ্ঞ রেখে দেশ গঠনের চেষ্টা বৃথা।
কারন, পৃথিবীর যাবতীয় কুৎসিতের প্রসূতিগার হল অজ্ঞতা।

1 comment: